নিউজ ডেস্ক :: গত তিনদিন টানা বৃষ্টি ও নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার যাদুকাটা, বোলাই ও পাঠলাই নদীর পানি বেড়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বাড়ায় নিম্নাঞ্চলের মানুষ পানিবন্দি আছে। গ্রামীণ সড়ক আবারও তলিয়ে গেছে। তাই বাধ্য হয়ে নৌকা দিয়ে জেলা ও উপজেলায় জরুরি কাজে,চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে হাট বাজারে যাচ্ছেন।
পানিতে ডুবে আছে তাহিরপুর-বাদাঘাট সড়ক ও তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কের কৈয়ারকান্দা (১শত মিটার) সড়ক। এতে করে এই দুটি সড়কে সরাসরি যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে পানির চাপ কমে গেলে তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কের কৈয়ারকান্দা(১শত মিটার)সড়ক থেকে পানি নেমে যাবে।
আবু জাহান তালুকদার জানান, পানি বৃদ্ধি পাওয়া নিম্নাঞ্চলের পরিবার গুলো ও তাদের গবাদি পশু নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে। গত দুদিন বৃষ্টির কারণে পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। সীমান্ত এলাকা ও হাওর পাড়ের সড়ক পানিতে ডুবে আছে।
টাংগুয়ার হাওর পাড়ের কৃষক লোকমান মিয়া জানান, বছরের বর্ষার ৬ মাস পানিই নিত্যসঙ্গী। হাওর পাড় থেকে উপজেলা সদরের সাথে সড়ক পথের কোনো ব্যবস্থা নেই তবে শুষ্ক মৌসুমে কোন রকমে চলাচল করা যায়। প্রতিবছরে বন্যায় আমাদের ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট ডোবে যায়। তবে বন্যার হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে পরিকল্পিত ভাবে নদীগুলো খনন করা প্রয়োজন।
দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আহমদ মুরাদ জানান, আমার ইউনিয়ন হাওর বেষ্টিত। প্রতিটি গ্রামের চার পাশেই পানি। গত তিন দিনে টানা বৃষ্টি ও নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে আবারও বেড়েছে। নিচু বাড়ি ঘরের কাছা কাছি চলে এসেছে পানি।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুপ্রভাত চাকমা জানান, গত দুদিন বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে পানি কিছু টা বৃদ্ধি পেয়েছে তবে বন্যার আশংকা নেই।