অনুসন্ধান ডেস্ক ::: ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন (বিএইচআরসি) এয়ারপোর্ট থানা শাখার উদ্যোগে গত মঙ্গলবার বেলা ১১টায় সিলেট নগরীতে র্যালি ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মানবাধিকার কমিশন এয়ারপোর্ট থানা শাখার সহ সভাপতি শাহিন হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম কামরুল এর পরিচালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন (বিএইচআরসি) আমেরিকার শাখার গভর্নর শরিফ আহমদ লস্কর। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন রোটারিয়ান এম এ মতিন, বিশিষ্ট লেখক আজাদ আহমদ, অন্যতম মানবাধিকার কর্মী কয়েছ আহমদ সাগর, মহিলা সম্পাদিকা রুনা সুলতানা, সদস্য আছমা বেগম, জাহাঙ্গীর আলম, জয়নাল আবেদীন, সুমন আহমেদ জনি, আহাদ লস্কর, রেদুয়ান লস্কর, সুমন উদ্দিন চৌধুরী, রিহাব মিয়া, ইমাম উদ্দিন কামাল, ফয়জুর রহমান, জাহিদ হোসেন,আবু হোসেন, আব্দুল করিম, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ
আলোচনা সভায় বক্তাগণ বলেন, বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার রক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গ্রহণ করে। এ ঘোষণার মাধ্যমে স্বীকৃত হয় যে জন্মস্থান, জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বিশ্বাস, অর্থনৈতিক অবস্থা কিংবা শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্বিশেষে মানবাধিকার সর্বজনীন ও সবার জন্য সমান। কিন্তু বিশ্বে জাতিসংঘের ঘোষণা বস্তবায়িত হয়নি।
বক্তারা আরো বলেন, ‘বাংলাদেশে একটি স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশ যার সংবিধানে মানুষের অধিকারের বিষয়গুলো পরিষ্কারভাবে লিপিবদ্ধ আছে। আমাদের সংবিধানের ২৬ থেকে শুরু করে ৪৭(ক) ধারায় নাগরিকদের মৌলিক অধিকারের বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে। সংবিধানের আলোকে দেশে অনেক আইন, নীতিমালা ও সেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে ঠিকই কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে এখনো আমরা প্রত্যাশিত অগ্রগতি অর্জন করতে পারিনি। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নারী, শিশু ও চা-শ্রমিকের অধিকার। স্বাধীনতার এত বছর পরও আমরা আমাদের নারী, শিশু ও চা-শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার ও নিরাপত্তার দিকগুলো নিশ্চিত করতে পারিনি। বরং সময় সময় কিছু সংবাদ আমাদের মানবাধিকার পরিস্থিতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।’
সভায় বক্তৃতাগণ সমাজের সকল অনিয়ম, বৈষম্য ও অসংগতি বিরুদ্ধে এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেতন নাগরিকবৃন্দকে মানবাধিকার বাস্তবায়নে কাজ করার আহবান জানান। বিজ্ঞপ্তি