অনুসন্ধান নিউজ :: বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেছেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যূত্থানে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পতন হয়েছে। পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সারাদেশে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করে। ছাত্র-শিক্ষক, কৃষক-শ্রমিক, দিনমজুর সকল শ্রেণির অংশগ্রহণেই ঘটে ঐতিহাসিক এই গণঅভ্যূত্থান। হঠাৎ করেই ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সাধারণ মানুষ রাজপথে নেমে আসেনি। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের দীর্ঘদিনের অত্যাচার-নির্যাতন-নিপীড়ন, গুম-খুন, দুর্নীতি-দুঃশাসনের কারণে মানুষের মধ্যে যে ক্ষোভ পুঞ্জিভূত হয়েছিল তারই বিস্ফোরণ ঘটেছে জুলাই-আগস্টের বিপ্লবে। আর এই গণঅভ্যূত্থানের পটভূমি তৈরি হয়েছে বিএনপির দীর্ঘদিনের ত্যাগের মাধ্যমে। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে হামলা-মামলা, গুম-খুন, অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার বিএনপি নেতাকর্মীরা।
সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারস্থ একটি হোটেলে জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে লালবাজার, জালালাবাজার, হাসান মার্কেট, সিএনজি, রিক্সাচালক, সবজি ব্যবসায়ীদের সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরীর উদ্যোগে ও সার্বিক তত্ত্বাবধানে সোমবার (৪ নভেম্বর) ব্যাতিক্রম ধর্মী আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি বক্তব্যে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইদদাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাবন্দী করে রেখেছিল। আমাদের নেতা আগামী দিনের রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্বাসিত করে রেখেছে। আমাদের এমন কোন নেতা নেই যাদের বিরুদ্ধে ৪০-৫০টা মামলা নেই। ৬০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়েছে, ৭ শত মতো মানুষকে গুম করেছে, সহস্রাধিক হত্যা করেছে। গায়েবি মামলা দেয়া হয়েছে দেশজুড়ে। দিনের পর দিন নেতাকর্মীদের কারাগারে বন্দী রেখেছে ফ্যাসিবাদী সরকার। এর কারণ ছিল একটাই বিএনপিকে নিঃশেষ করে দেয়া, আন্দোলন দমন করা। কিন্তু তাতে কি তারা আন্দোলন বন্ধ করতে পেরেছে? সফল হয়েছে? জনগণ জেগে উঠেছে, জনগণের উত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্ট সরকার পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
জালালবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে ও মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুর্শেদ আহমদ মুকুলের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ সাফেক মাহবুব, সিলেট মহানগর ব্যবসায়ী ঐক্য কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান রিপন, মদীনা মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি আমীর আলী, সিলেট মহানগর ব্যবসায়ী ঐক্য কল্যাণ পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল হাদি পাভেল, মহানগর বিএনপি নেতা আবুল কালাম, আফজল উদ্দিন, ওয়ার্ড সভাপতিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আব্দুল হাকিম, মির্জা লিটন, আব্দুল ওয়াদুদ মিলন, আকমল উদ্দিন, নুরুল কবির খোকন, শোইয়াব আহমদ শুয়েব, তারেক আহমদ, খায়রুল ইসলাম খায়ের, আক্তার রশিদ চৌধুরী, মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, রহিম মল্লিক, লুৎফুর রহমান মোহন, নাজিম উদ্দিন, জাকির হোসেন মজুমদার, ইকবাল কামাল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আফসর খান, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি সুদীপ জ্যোতি এষ, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক দিলোয়ার হোসেন দিনার, ওয়ার্ড সাধারণ সম্পাদকদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, আব্দুস সবুর রাসেল, আব্দুল আজিজ লাকি, রফিকুল ইসলাম রফিক, সৈয়দ লোকমানুজ্জামান, আব্দুল মালিক শেকু, নজরুল ইসলাম, রুবেল বক্স, ফয়েজ আহমদ মুরাদ, সাব্বির আহমদ, দেওয়ান আরাফাত চৌধুরী জাকি, জমজম বাদশা, সৈয়দ রহিম আলী রাশু, আলী রাজ, মিনহাজ পাঠান, মোশাহিদ আলী, প্লাজা মার্কেট জুয়েলারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, হকার্স মার্কেটের সভাপতি আ নোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মিয়া, ট্রেড সেন্টার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সাদ মিয়া, সেলিম আহমদ সেলু, আমিনুল ইসলাম আমিন, চান মিয়া, আশরাফ আলী, আলী হায়দার মজনু, বজলুর রহমান, জমির হোসেন, মকসুদ আহমদ, নুরুল ইসলাম, আজমল হোসেন, শ্রমিক দলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম জীবন, তোফাজ্জল হোসেন বেলাল প্রমুখ।