শিরোনাম :
পুলিশ লাইনস উচ্চ বিদ্যালয়ে মতবিনিময় সভায়-এসএমপি কমিশনার ৩দিন ব্যাপী “মহা তাঁবু জলসা” ৪র্থ আঞ্চলিক রেঞ্জার ক্যাম্প সম্পন্ন জকিগঞ্জে বাংলাদেশে ঢুকে স্থাপনা ভাঙচুর, স্থানীয়দের প্রতিরোধে পিছু হটল বিএসএফ উন্নয়ন বঞ্চনার শিকার সিলেটবাসী, আরিফের নেতৃত্বে অবস্থান ধর্মঘট সিলেটে বসবাসরত জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জের পেশাজীবিদের সাথে মতবিনিময় সভায়-কয়ছর এম আহমেদ দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বো না: আরিফুল হক মহানগর ২ ও ৩নং ওয়ার্ড মহিলা দলের উদ্যোগে মতবিনিময় সভায়-খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির তারেক রহমানের নির্দেশে গরিব ও অসহায় মানুষের মাঝে টিন বিতরণ নির্বাচনের আগে গণভোটের কোনো বাস্তব সুযোগ নেই-এম এ মালিক সিলেটে নতুন ট্রেন চালু, রেল লাইন সংস্কারসহ ৮ দাবিতে রেলপথ অবরোধ

শান্তির দূত হয়ে এসেছেন ড.জাফর ইকবাল স্যার, বাঁচালেন শিক্ষার্থীদের

রিপোর্টার নামঃ
  • বুধবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০২২
  • ২৭৩ বার পড়া হয়েছে

অজয় বৈদ্য অন্তর:: যেনো শান্তির দূত হয়ে এসেছেন ড.জাফর ইকবাল স্যার। ২৮ শিক্ষার্থী মরনাপন্ন অবস্থায় ছিলো দীর্ঘ ১৬৩ ঘণ্টা অনশনে। কিন্তু শাবির বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল ও তাঁর স্ত্রী ড. ইয়াসমিন হক শিক্ষার্থীদের বাঁচাতে যেনো শান্তি দূত হয়ে গমন করলেন।

অবেশেষে ১৬৩ ঘণ্টা পর ‘আমরণ অনশন’ ভাঙলেন সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৮ শিক্ষার্থী। আন্দোলনের ১৩ তম ও অনশনের ৮ম দিনে বুধবার (২৬ জানুয়ারি) সকাল ১০টা ২০ মিনিটের সময় বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল ও তাঁর স্ত্রী ড. ইয়াসমিন হক শিক্ষার্থীদের পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙান। তবে অনশন ভাঙলেও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

এই করোনাকালীন বিপর্যয়ে এতবড় ঝড়ের পার্দুভাব থেকে শেষ রক্ষা পাওয়া কঠিন। এ সময়ে বাচ্চারা না খেয়ে থাকলে অসুস্থ হয়ে পড়বে। অনেক তো অসুস্থ হয়েই পড়েছে ইতিমধ্যে। বিশেষ করে ধন্যবাদ দিতেই হয় ড.জাফর একবাল স্যার কে। যার অমায়িক ব্যবহারে অনশনে থাকা বাচ্চাগুলো আর মুখ ফেরাতে পারে নি। সত্যি অন্য রকম ভালো লাগলো। খুব অস্বস্থির মধ্যে কেটেছিলো এ কটা দিন। বাচ্চারা না খেয়ে , না ঘুমিয়ে রাত দিন মৃত্যুর প্রহর গুনছিলো।

বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল স্যারের বিচক্ষণতার তারিফ করতেই হয়। দেশের এতো এতো এমপি মন্ত্রী অনশন ভাঙ্গার বৃথা চেষ্টা করলেন। অথচ অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল স্যার এসে ম্যাজিকের মতো কেমন সব সমস্যা সমাধান করে ফেললেন।

এর আগে বুধবার ভোরে শিক্ষার্থীরা জানান, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে এলেই অধ্যাপক জাফর ইকবালের উপস্থিতিতে সকালে একযোগে অনশন ভাঙবেন তারা। তার আগে জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী ইয়াসমিন হকের সঙ্গে আলোচনার সময় এই প্রতিশ্রুতি দেন ক্যাম্পাসে অনশনরত শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাত ৩টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা থেকে ক্যাম্পাসে আসেন শাবির সাবেক অধ্যাপক জাফর ইকবাল ও তার স্ত্রী (সাবেক অধ্যাপক) ইয়াসমিন হক।

আন্দোলনত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার সময় জাফর ইকবাল জানান, উচ্চ পর্যায়ে তার আলোচনা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি পেয়েছেন। এ কারণেই তিনি ক্যাম্পাসে ছুটে এসেছেন। অনশন না ভাঙিয়ে তিনি ফিরে যাবেন না।

এখন ঘরের ছেলেরা ঘরে চলে যাচ্ছে দেখে ভালো লাগছে। জাফর ইকবাল স্যারের শিক্ষকতা জীবনের স্বার্থকতা এটাই। যারা ব্যর্থ হয়েছিলেন অনশন ভাঙ্গাতে তাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে জাফর ইকবাল স্যার বুঝিয়ে দিয়েছেন। সব কাজ জোর আদায় করা যায় না ভালোবাসা দিয়ে আদায় করতে হয়। বুধবার আজ (২৬ জানুয়ারি) সকাল ৭টা ৫০ মিনিটের সময় ক্যাম্পাসে অনশনের জন্য গড়ে তোলা মঞ্চ ও শামিয়ানা ভেঙে দেন তারা। তাদের সব সরঞ্জামাদি নিয়ে বাড়ির পথ ধরলেন আন্দোলনকারী অনশনরত শিক্ষার্থীরা।

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2021 Anushondhan News
Developed by Host for Domain