আন্তর্জাতিক ডেস্ক ::: আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) মতে, পাল্টা শুল্কের চাপ এখনো মার্কিন ও অন্যান্য দেশের কোম্পানিগুলোকেই বহন করতে হচ্ছে। তবে শীর্ষ রপ্তানিকারক দেশগুলোর পণ্যের চাহিদা কম থাকায় বৈশ্বিক মূল্যস্ফীতিতে মিশ্র প্রভাব দেখা যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি থেকে এক ভার্চ্যুয়াল ব্রিফিংয়ে আইএমএফের মুখপাত্র জুলি কোজাক এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, পাল্টা শুল্ক সংক্রান্ত অনিশ্চয়তার মধ্যেও বৈশ্বিক অর্থনীতি কিছুটা স্থিতিশীলতা ধরে রেখেছে। বছরের প্রথমার্ধে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধিতে স্থিতিশীল অবস্থা দেখতে পেয়েছি। তবে এখন আমরা বিশ্বব্যাপী মন্দার সংকেত দেখতে শুরু করেছি। মূল্যস্ফীতির ক্ষেত্রে বৈশ্বিক চিত্র কিছুটা মিশ্র।
আইএমএফের কমিউনিকেশন ডিরেক্টর জুলি কোজাক বলেন, পাল্টা শুল্কের প্রভাবে কিছু পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। তবে চীনসহ কিছু এশীয় দেশে মুদ্রাস্ফীতির চাপ এখনও কম। এটি রপ্তানি চাহিদার ওপর শুল্কের প্রভাবকে প্রতিফলিত করছে।
তিনি আরও বলেন, কোম্পানিগুলো পাল্টা শুল্কের একটা অংশ বহন করছে। সে জন্য যুক্তরাষ্ট্রে এখন পর্যন্ত মূল্যস্ফীতির প্রভাব তুলনামূলকভাবে সীমিত রয়েছে। এটি কত দিন স্থায়ী হবে, তা একটি প্রশ্ন।
জুলি কোজাক বলেন, আইএমএফের পরবর্তী ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক ১৪ অক্টোবর প্রকাশিত হবে। এ প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি ও মূল্যস্ফীতিতে পাল্টা শুল্কের প্রভাব নিয়ে আলোচনা থাকবে। একই সঙ্গে নভেম্বর মাসে আইএমএফের বার্ষিক আর্টিকেল ফোর-এর পর্যালোচনায়ও বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হবে।
তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমবাজারে নমনীয়তার কারণে গত সেপ্টেম্বরে সে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ বা ফেডের নীতি সুদের হার কমানো প্রয়োজন ছিল। এতে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির ঝুঁকি রয়েছে। তাই ফেডকে সুদহার নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় আসন্ন তথ্যের দিকে সতর্ক নজর রাখতে হবে।
এমবি