অনুসন্ধান ডেস্ক ::: ইন্ডিয়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ মতো ইলিয়াস আলীকেও গুম করেছে। তিনি ইলিয়াস আলীকে ফেরত চান। তিনি বলেন ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমসহ কমপক্ষে ১৫০০ নেতা কর্মীকে গুম করা হয়েছে। এখনো তাদের ফেরত পাওয়া যায় নাই। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন আজকে জুলাই সনদে এই ১৫০০জন গুমের কথা উল্লেখ নাই।
শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) রাত ১০.০০টায় সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় করসনা গ্রামবাসীর সহযোগীতায় ৩১ দফা রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের লক্ষে মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক।
তিনি আবারও বলেন বিগত ১৫ বছরে আওয়ামী ফ্যাসিবাদীর আমলে যাদের বিরুদ্ধে কমপক্ষে দুইটি মামলা হয় নাই, দল যেন তাদের মনোনয়ন না দেয়। এম এ মালিক যুক্তরাজ্যে অবস্থান করলেও তৎকালীন সময়ে তার নামে দেশে মামলা হয়েছে। মালিকের দক্ষিণ সুরমার বাড়ী পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। তার মায়ের মৃতদেহ নিয়ে দেশে আসতে দেয়া হয় নাই। অথচ এক নেতাকে রিসিভ করতে মেয়র পর্যন্ত বিমানবন্দরে গিয়েছিল। দল তাদের বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন বলে আশাব্যক্ত করেন।
এম এ মালিক বলেন জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বহির্বিশ্বের সবচেয়ে বড় আন্দোলনের নেতৃত্বদানকরী জুলাই যোদ্ধা হিসেবে তাকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল এবং তিনি এই ঐতিহাসিক জুলাই সনদ সকল দলের সাক্ষরের মাহেন্দ্রক্ষণে তিনি স্বাক্ষী হিসেবে ছিলেন।
এম এ মালিক বলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া তাকে বলেছেন দিয়েছেন তিনি যেন দেশে আসেন, দেশের মনুষের সেবা করেন, এম এ মালিকও বিএনপি চেয়ারপার্সনকে কথা দিয়েছেন তিনি দেশের মানুষের সেবা করতে দেশেই থাকবেন। উল্লেখ্য বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া সাথে কতারী এয়ার এ্যাম্বুলেন্সে এক সাথে দেশে এসেছিলেন এম এ মালিক।
তিনি বলেন আগমী রবিবার (১৯ অক্টোবর) বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাকে চায়ের দাওয়াত দিয়েছেন এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও বিএনপি চেয়ারপার্সনকে বিষয়টি তিনি অবগত করেছেন। তারা এম এ মালিককে চায়ের দাওয়াতে যাওয়ার জন্য অনুমতি দিয়েছেন।
তিনি মনে করেন আগামী নির্বাচনে সিলেট-৩ (দক্ষিণ সুরমা, বালাগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ) গত ১৫ বছর যার মাঠে কাজ করেছিলেন বিএনপি তাকে মনোনয়ন দিবে। এই ক্রাইটেরিয়াতে যদি তিনি না পাড়েন তাকেও যেন মনোনয়ন না দেয়া হয় বলে তিনি মন্তব্য করেন। যারা আওয়ামীলীগের সাথে যারা আঁতাত করে বিগত দিনে চলেছিলেন তাদেরকে ম্যানেজ পার্টি হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন দল যেন এই ম্যানেজ পার্টিদের মনোনয়ন না দেয়। তাছাড়া যাকেই দল মনোনয়ন দিবে এম এ মালিক তাকেই সমর্থন দিবেন বলে জনান।
সভায় সভাপতিত্ব লালবাজার ইউনিয়ন বিনপির সাবেক সভাপতি মোমিন খান।
৬নং লালাবাজার ২৫ ইউনিয়নের ছাত্রদলের সভাপতি সুহেল খানের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা ফালাকুজ্জামান জগলুসহ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশেষ অতিথি বিএনপি নেতা জিলাল খান, তেতলি ইউনিয়ন বিনপির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম, বিএনপি আব্দুল হক জগলু, লালাবাজার ইউনিয়ন বিনপির সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান চৌঃশিফতা, সিলেট জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিনার হোসেন লিটন, তেতলি ইউনিয়ন বিনপির সহস্বেচ্ছাসেবক সম্পাদক খসরু আহমেদ,গফ্ফার, মাছুম আলম, কয়েস খান, সেলিম খান, মাসুম আলম, রানা খান, বাবুল আহমদ, সিপার খান প্রমূখ।