রফিক সরকার গোয়াইনঘাট (সংবাদদাতা :: কয়েক দিনের টানা বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ফের বন্যা দেখা দিয়েছে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার সর্বত্রই। উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্লাবিত হচ্ছে বন্যার পানি। টানা কয়েক দিনের বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে উপজেলা প্রতিটি নদ-নদী, বিলে ও হাওর অঞ্চলে বন্যার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে । ভারতের মেঘালয় এলাকায় অতিমাত্রায় বৃষ্টি কারনে সীমান্তবর্তী উপজেলার প্রায় ৯৫% এলাকার ঘর বাড়ি ও রাস্তাঘাট বন্যার পানিতে ডুবে গিয়েছে। শাকসবজি জমি সহ রাস্তাঘাট বন্যার পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ভারতের মেঘালয় ও ডাউকি এলাকার পাহাড়ি ঢলে উপজেলার ৩নং পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের আসামপাড়া, আসামপাড়া হাওর, সানকিভাঙা,কৈকান্দির পার, মুসলিম নগর, ১১নং মধ্য জাফলং ইউনিয়নের বাউরবাগ হাওর, নয়াঙ্গের পার ভিত্রিখেল, আলম নগর, নন্দিরগাঁও, তোয়াক্কুল, ফতেপুর, পশ্চিম আলীরগাঁও, পূর্ব আলীরগাঁও, রুস্তম পুর ও লেঙ্গুড়া এলাকারসহ বেশ কয়টি এলাকার সাথে উপজেলা সদরের যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ঘনঘন বন্যার কারনে উপজেলার প্রতিটি এলাকার রাস্তাঘাটের ব্যাপক হাড়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সরেজমিন পরিদর্শন করে দেখা গেছে গোয়াইনঘাট উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের ৯৫% রাস্তাঘাট ও ঘরবাড়ি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এছাড়া অবিরাম বৃষ্টিতে এ অঞ্চলের মানুষের জীবন যাত্রার মান বিপর্যয় দেখা দিয়েছে চরম আকারে। তবে পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টি অব্যাহত থাকলে এই অঞ্চলের মানুষজনের পরিবার পরিজন ও গবাদিপশু নিয়ে বেকায়দায় পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এবং উপজেলাধীন বেশীর ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই বন্যার পানিতে প্লাবিত হওয়ার কারনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলেতে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ । আজ বুধবার সকাল থেকেই বিপদ সীমান উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বন্যার পানি। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও সীমান্ত এলাকায় অতিমাত্রায় বৃষ্টি কারনে, জৈন্তা ও গোয়াইনঘাট উপজেলাধীন ছোট বড় বেশ কয়েকটি বেড়িবাঁধ, অর্ধশত ব্রিজ, কালবার্ড ও রাস্তাঘাট রয়েছে হুমকির মুখে।
বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আলাপ কালে গোয়াইনঘাটের
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিলুর রহমান বলেন, কয়েক দিন ধরে অতি মাত্রায় বৃষ্টির ও উজান থেকে নেমে আশা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের ৯৫% রাস্তাঘাট ও বাড়িঘরে বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এবং আমরা সার্বক্ষণিক বন্যাকবলিত এলাকার খোঁজখবর নিয়ে মনিটরিং করছি। এবং বন্যায় জনগণের দুর্ভোগ লাগবে জন্য আমরা কয়েকটি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।