অনুসন্ধান নিউজ :: সারা দেশের ন্যায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায়ও শেষ হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। বুধবার বিজয়া দশমীর দিন সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন নদী, জলাশয় ও পুকুরে দুর্গা বিসর্জন করেন ধর্মপ্রাণ সনাতনীরা।
এর আগে উপজেলার প্রতিটি মণ্ডপে ভক্তদের মাঝে চলে সিঁদুর খেলা আর আনন্দ-উৎসব। হিন্দু তরুণীরা প্রতিমায় সিঁদুর পরিয়ে দিয়েছেন। একজন আরেকজনেকে মাখিয়ে দিয়েছেন। সিঁদুর খেলার পাশাপাশি ছবি তোলা আর ঢাকের তালে তালে নাচ-গান করেছেন ভক্তরা।
শান্তিগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার ২২টি মণ্ডপের মধ্যে ৮টি মণ্ডপের বিসর্জন হবে হবে না। অর্থাৎ প্রতিমা স্থায়ীভাবেই স্থাপন করা হয়েছে এসব মণ্ডপগুলোতে। বাকী ১৪টি প্রতিমা বিভিন্ন নদী, জলাশয় ও পুকুরে বিসর্জন দেওয়া হয়েছে। পাগলা সংলগ্ন ডাবরের পুরোনো ফেরিঘাটে মহাসিং নদীতে পশ্চিম পাগলার সনাতন সংঘের প্রতিমা, পালপাড়ার তমেশ পালের বাড়ির প্রতিমা ও ত্রিনয়নী পূজা সংঘের প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়েছে। ডাবর সেতুর পূর্বপাড়ে বিসর্জন দেওয়া হয়েছে পূর্ব পাগলার দামোধরতপীর প্রতিমা। প্রতিমা বিসর্জনে ভক্তদের ভিড় ছিলো চোখে পড়ার মতো।
প্রাক্তন মেম্বার ও প্রবীণ ব্যক্তি ধীরেন্দ্র পাল ধীরু বলেন, মা দুর্গা চলে যাবেন। মায়ের কাছে এটাই চাই, মা যেনো আমাদের সকলের মঙ্গল করেন।
প্রতিমা বিসর্জনের সময় নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ডাবরের পুরোনো ফেরিঘাটে ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা জিসান রহমান নাবিকের নের্তৃত্বে রাখা হয়েছিলো ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট।
জিসান রহমান জানান, বিসর্জনে আসা ভক্তদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে বরাবরের মতো আমরাও এসেছে। যেকোনো রকমের দূর্ঘটনা এড়াতে আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছি।