শিরোনাম :
জামায়াতে ইসলামী সিলেট মদিনা মার্কেটে ঐতিহাসিক সিরাত মাহফিল ও সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত সিলেটে আলোচিত সুলতান ডাইনকে জরিমানা দূর্গাপুজা উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বীসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে বিজিবির মতবিনিময় র‍্যাবের অভিযানে ৩ নারী ১ পুরুষ আটক সিলেটে প্রাইভেটকারে মিললো ১২ লাখ টাকার ভারতীয় ক্রিম বিয়ানীবাজার দুবাগ ইউনিয়ন বিএনপির জনসভা নতুন প্রজন্মকে মানবিক মুল্যবোধে উজ্জ্বীবিত করতে হবে-প্রাক্তন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী শেরপুরে পাহাড়ি ঢলে আঞ্চলিক সড়কে ভাঙন, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বিএনপির সাথে সংলাপের মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ ডিবি কার্যালয়ে থাকবে না কোনো আয়না ঘর-ভাতের হোটেল : মল্লিক

প্রবাসী পরিবারে ট্রাজেডি: স্বামী-সন্তানের পাশে চিরঘুমে হুসনে আরা

রিপোর্টার নামঃ
  • শুক্রবার, ২১ অক্টোবর, ২০২২
  • ৯৩ বার পড়া হয়েছে

নিউজ ডেস্ক :: সিলেটের ওসমানীনগরে একই পরিবারের অচেতন অবস্থায় উদ্ধার হওয়া প্রবাসী পরিবারের তিনব সদস্য মারা যাওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া রফিকুল ইসলামের স্ত্রী ব্রিটিশ নাগরিক হুসনে আরা বেগম (৪৫) এর লাশ দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার পারকুলস্থ জামেয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদ্রাসায় তার জানাযার নামাজ শেষে স্বামী সন্তানদের পাশে হুসনে আরা বেগমের লাশ দাফন করা হয়। জানাযায় সিলেট ২ আসনের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খাঁনসহ স্থানীয় অসংখ্য বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজন উপস্থিত হন। এসময় পরিবারের বেঁচে থাকা একমাত্র সদস্য রফিকুল ইসলামের বড় ছেলে সাদিককুল ইসলামও মায়ের জানাযার নামাজে অংশ নেন। জানাযার নামাজে ইমামতি করেন মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল আব্দুল হাই। জানাযা নামাজ শেষে বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ধিরারাই গ্রামে স্বামী সন্তানদের পাশে হুসনে আরা বেগমের লাশ দাফন করা হয়। এর আগে ১৮অক্টোবর দিবাগত রাত ৩টার দিকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান হুছনে আরা বেগম।

উলেখ্য, গত ১২ জুলাই যুক্তরাজ্য প্রবাসী রফিকুল ইসলাম পরিবারের ৫ সদস্যদের নিয়ে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরেন। ঢাকায় এক সপ্তাহ থেকে বড় ছেলে সাদিকুলের চিকিৎসা শেষে ১৮ জুলাই তাজপুর স্কুল রোডস্থ ৪তলা বাসার দুতলায় বাড়াটিয়া হিসেবে উঠেন।

২৫ জুলাই রাতের খাবার খেয়ে স্ত্রী, মেয়ে ও ছেলেদের নিয়ে বাসার একটি কক্ষে রফিকুল এবং অপর দুটি কক্ষে শ্বশুর, শাশুড়ি, শ্যালক, শ্যালকের স্ত্রী ও শ্যালকের মেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে ডাকাডাকি করে রফিকুলদের কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে ‘৯৯৯’ নাম্বারে ফোন দেন রফিকুলের শ্যালক দিলওয়ার। দুপুর ১২টার দিকে ওসমানীনগর থানা পুলিশ দরজা ভেঙ্গে অচেতন অবস্থায় ৫ প্রবাসীকে উদ্ধার করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা রফিকুল ইসলাম ও তার ছোট ছেলে মাইকুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন।

আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্ত্রী হুসনেআরা, বড় ছেলে সাদিককুল ইসলাম ও একমাত্র মেয়ে সামিরা ইসলামকে হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগে ভর্তি করা হয়। ১১দিন সজ্ঞাহীন অবস্থায় লাইিফসাপোর্টে থাকা সামিরাও মারা যায়। রফিকুলের স্ত্রী হুসনে আরা ও ছেলে সাদিককুল বাড়ি ফিরলেও ৩ মাস পর হুসনে আরাও চলে গেলেন না ফেরার দেশে।

আরো সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2021 Anushondhan News
Developed by Host for Domain