অনুসন্ধান নিউজ :: বাম গণতান্ত্রিক জোট, ফ্যাসিবাদ বিরোধী বাম মোর্চা ও বাংলাদেশ জাসদ সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে জনজীবনে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনা, ছাত্র গণঅভ্যুত্থান হত্যাকাণ্ডের বিচার সহ অন্যান্য দাবিতে গত বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫টায় আম্বরখানা পয়েন্টে পথসভা ও লিফলেট বিতরণ করা হয়।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি সিলেট জেলা সভাপতি সৈয়দ ফরহাদ হোসেন এর সভাপতিত্বে ও বাসদ জেলা সদস্য সচিব প্রণব জ্যোতি পাল এর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাসদ জেলা আহ্বায়ক আবু জাফর, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদক সিরাজ আহমদ,
সাম্যবাদী আন্দোলনের এডভোকেট মহীতোষ দেব মলয়, বাংলাদেশ জাসদ মহানগর সাধারণ সম্পাদক নাজাত কবির,বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা সদস্য সঞ্জয় কান্ত দাশ, সিপিবি জেলা সাধারণ সম্পাদক খায়রুল হাসান, উদীচী জেলা সংসদের সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল মিন্টু, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি হৃদেশ মুদি,বাংলাদেশের শ্রমিক জোটের জেলা সাধারণ সম্পাদক প্রবীর দেব,চা শ্রমিক ফেডারেশনের অজিত রায়, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের জাহেদ আহমদ,ছাত্র ইউনিয়নের মনীষা ওয়াহিদ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সুমিত কান্তি ধর পিনাক, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের বিশ্বজিৎ শীল প্রমূখ।
পথসভায় বক্তারা বলেন, ছাত্র – জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের পর দেশের বিভিন্ন স্থানে দখলদারিত্ব, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারের ঘটনায় চলছে। বক্তারা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান ও দখলদারিত্ব বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে দেশবাসী আশা করলেও তার উল্লেখযোগ্য প্রতিফলন এখনো দৃশ্যমান হচ্ছে না। এটা সবাইকে মনে রাখতে হবে যে এই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে কোন বিশেষ দল বা গোষ্ঠী বিজয়ী হয়নি। ছাত্র জনতার রক্তস্নাত সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অর্জিত বিজয়ে দেশবাসী আশা করেছিল ক্ষমতার পরিবর্তন হলেও অতীত দিনের মতো দখলদারিত্ব,চাঁদাবাজ বন্ধ হব। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যথাযথ উন্নতি এখনও পর্যন্ত হয়নি। দেশের বিভিন্ন স্থানে পাল্টা দখলদারিত্ব, নীরব চাঁদাবাজি, নিরীহ মানুষদের কে মামলার হয়রানি,হুমকি ধামকি চলছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।বিভিন্ন স্থানে দখলদারিত্ব, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারের ঘটনায় সৃষ্ট সংকটে ক্ষিপ্রতার সাথে সমস্যা সমাধানের দৃশ্যমান উদ্যোগ চোখে পড়ছে না।বক্তারাসারাদেশে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও জনজীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনাসহ এসময়ে ও অতীতে যেসব দখলদারিত্ব কায়েম হয়েছে তার অবসান ঘটাতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান হয়েছে।
নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকদেরকে জোর করে পদত্যাগে বাধ্য করার ঘটনাও চলছে। আইন নিজের হাতে তুলে না নিয়ে যদি কোন শিক্ষকের বিরুদ্ধে পতিত ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর হিসেবে ক্ষমতার অপব্যবহার, বেআইনী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ থাকে তাহলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অর্থাৎ শিক্ষা মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসনের কাছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।
বক্তারা,অবিলম্বে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান।
বক্তারা ফ্যাসিবাদী-বৈষম্যের ব্যবস্থা উচ্ছেদের সংগ্রামে জনগণ কে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।