অনুসন্ধান নিউজ :: বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিফতাহ সিদ্দিকী বলেছেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসব নির্বিঘ্নে পালন করতে পাশে বিএনপি। আমরা হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সকলেই ভাই ভাই হিসেবে মিলেমিশে থাকতে চাই। তাই হিন্দু সম্প্রদায়ের আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপনের জন্য আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশনায় প্রতিটি পূজামণ্ডপ পাহারায় থাকবে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। আপনারা নির্বিঘ্ন ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দুর্গাপূজা উদযাপন করবেন।
তিনি আরো বলেন, ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষায় বিগত দিনের ন্যায় বিএনপি তাদের পাশে রয়েছে। কোনোভাবেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে দেয়া যাবে না। আমরা সবাই মিলে নতুন বাংলাদেশ গড়ার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাব। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সব ধর্মের মানুষের নির্বিঘ্নে ধর্ম পালনের অধিকারে বিশ্বাস করে বিএনপির সর্বস্থরের নেতাকর্মীরা।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) শারদীয় দুর্গোৎসব ২০২৪ উপলক্ষে সিলেট মহানগর বিভিন্ন পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সিলেট মহানগর বিএনপির মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মতবিনিময় সভা পরিচালানা কালে সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, বিএনপি বিশ্বাস করে দলমত ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার। প্রতিটি নাগরিক সব ক্ষেত্রে সমান অধিকার ভোগ করবে, এটাই বিএনপির নীতি ও রাজনীতি। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মূল মন্ত্র ছিল সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার। কে মুসলমান, কে হিন্দু, কে বৌদ্ধ, কে খ্রিস্টান মুক্তিযুদ্ধের সময় আমাদের এমন কোনো জিজ্ঞাসা ছিল না। আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশে সংখ্যালঘু কিংবা সংখ্যাগুরু এসব নিয়ে চিন্তার কোনো কারণ নেই। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালি-অবাঙালি বিশ্বাসী-অবিশ্বাসী কিংবা সংস্কারবাদী প্রতিটি নাগরিকের একমাত্র পরিচয় আমরা বাংলাদেশি। বিএনপির রাজনীতি হচ্ছে সবাইকে নিয়ে রাজনীতি করা। একটা ভয়াবহ দানবের বিরুদ্ধে একটা অ বিশ্বাস্য বিপ্লবের মধ্য দিয়ে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ ১৭ বছর লড়াই করে বিজয় অর্জন করেছি। এই বিজয় কোনোভাবেই নস্যাৎ হতে দেওয়া হবে না।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন, সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ও সাবেক প্যানেল মেয়র রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, নজিবুর রহমান নজিব, সৈয়দ মঈন উদ্দিন সুহেল, বাপ্পু সেন, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ সাফেক মাহবুব, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি এডভোকেট মৃত্যুঞ্জয় ধর ভোলা, জেলা সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা গোপীকা শ্যাম পুরকায়স্থ, সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক রজত কান্তি ভট্টাচার্য, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সিলেট জেলা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বিজয় কৃষ্ণ বিশ্বাস, মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি প্রদীপ কুমার দেব, জেলা সাধারণ সম্পাদক কৃপেশ পাল, পূজা উদযাপন পরিষদের জেলা সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রঞ্জন ঘোষ ও মহানগরের সাধারণ সম্পাদক চন্দন দাশ, মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সুদীপ রঞ্জুন সেন বাপ্পু, মুর্শেদ আহমদ মুকুল, মতিউর বারী খুর্শেদ, রাজীব কুমার দে, সুচিত্র চৌধুরী বাবলু, কল্লোল জ্যোতি বিশ্বাস জয়, বিমল দেবনাথ, টিটন মল্লিক, অর্জন ঘোষ, রণি পল, উজ্জল চন্দ্র রায়, মলয়লাল, শংকর চক্রবর্তী, উত্তম ঘোষ, রাজ কুমার পাল রাজু, মন মোহন দেবনাথ, দীপংকর দাস, নিথিল মালাকার, বিজয় দাস, স্বপন পাল, নান্টু রঞ্জন সিংহ, ধীরেশ দেবনাথ, লিটন সিংহ প্রমুখ।