আন্তর্জাতিক ডেস্ক ::: গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এবং যুদ্ধবিরতির দাবিতে ইউরোপজুড়ে হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমেছেন। যুক্তরাজ্য, স্পেন, ইতালি ও পর্তুগালসহ একাধিক দেশে বিক্ষোভ-মিছিল অনুষ্ঠিত হয় শনিবার। খবর বিবিসি এবং দ্য গার্ডিয়ানের।
স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদ ও বার্সেলোনায় কয়েক সপ্তাহ আগে ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী হাজারো মানুষ অংশ নেন। অন্যদিকে ইতালির রোম ও পর্তুগালের লিসবনে বিক্ষোভের ডাক আসে গাজামুখী ত্রাণবাহী জাহাজ বহর ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’কে ইসরায়েলি বাহিনী আটকের পর।
শুক্রবার ইতালিতে গাজার মানুষের প্রতি সংহতি জানিয়ে দেশজুড়ে এক দিনের সাধারণ ধর্মঘট পালিত হয়। এতে প্রায় ২০ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভে অংশ নেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম।
গত কয়েক সপ্তাহে স্পেনে ফিলিস্তিনিদের প্রতি জনসমর্থন উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। একই সঙ্গে দেশটির সরকার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সরকারবিরোধী কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করেছে। এমনকি স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ গাজায় চলমান সহিংসতাকে ‘জাতিহত্যা’ আখ্যা দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আসরে ইসরায়েলি দলের নিষেধাজ্ঞা দাবি করেছেন।
এদিকে লন্ডনে উত্তেজনা ছড়ায় নতুন করে। শুক্রবার ম্যানচেস্টারে একটি সিনাগগে প্রাণঘাতী হামলার পর পুলিশ রাজধানীতে বিক্ষোভ না করার আহ্বান জানায়। তবে নিষিদ্ধ সংগঠন প্যালেস্টাইন অ্যাকশন-এর সমর্থকেরা সেই আহ্বান উপেক্ষা করে বিক্ষোভে অংশ নেন।
লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ জানায়, সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলার অভিযোগে অন্তত ৪৪২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, গ্রেফতারের সংখ্যা প্রায় ৫০০।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, সিনাগগে হামলার আগেই কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল, তাই সেটি স্থগিত করার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। তারা অভিযোগ করেন, যুক্তরাজ্য সরকার ফিলিস্তিনপন্থি সংগঠনগুলোকে ‘সন্ত্রাসবিরোধী আইনের’ আওতায় এনে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমনে কাজ করছে।
ইউরোপজুড়ে এ ধারাবাহিক বিক্ষোভে বারবার উঠে এসেছে একই স্লোগান, ‘গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করো, ফিলিস্তিনের ওপর অবরোধ তুলে নাও।’