নিউজ ডেস্ক :: মৌলভীবাজারে পাম্পের জন্য নির্ধারিত গ্যাস বরাদ্দ শেষ হয়ে যাওয়ায় প্রতিমাসে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে গাড়িচালক ও যাত্রীদের। জেলায় মোট ১১টি সিএনজি পাম্পের মধ্যে মাসের শেষে ৪/৫টি বন্ধ থাকায় চালু পাম্পগুলোতে বেড়েছে চাপ। এ জন্য গ্যাস নিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে। প্রায় প্রতিটি পাম্পের সামনেই অন্তত ১ কিলোমিটার পর্যন্ত যানবাহনের সারি লক্ষ্য করা যায়।
জালালাবাদ গ্যাস আঞ্চলিক বিতরণ মৌলভীবাজার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জালালাবাদ গ্যাস মৌলভীবাজার, কুলাউড়া ও শ্রীমঙ্গল কার্যালয়ের আওতাধীন ১১টি সিএনজি পাম্প রয়েছে। এরমধ্যে মৌলভীবাজার কার্যালয়ের আওতাধীন ৬টি, কুলাউড়ার আওতাধীন ২টি ও শ্রীমঙ্গলের আওতাধীন ৩টি রয়েছে। প্রতিমাসের শেষের দিকে মৌলভীবাজার ও শ্রীমঙ্গল কার্যালয়ের আওতাধীন ৪/৫টি পাম্পের নির্ধারিত গ্যাস বরাদ্দ শেষ হয়ে যাওয়ায় বন্ধ থাকে। এ কারণে চালু পাম্পগুলোতে গ্যাস নিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে চালকদের।
সম্প্রতি কুলাউড়ায় গর্নভেলি সিএনজি স্টেশনে অপেক্ষারত এক সিএনজি অটোরকিশা চালক বলেন, রাত ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত অপেক্ষা করে সিরিয়াল ধরে গ্যাস নিতে হচ্ছে। সকাল ৬টা থেকে ১১টা পর্যন্ত পাম্প বন্ধ থাকে। বন্ধের টাইমটা কমিয়ে দিলে আমাদের জন্য খুবই ভালো হয়।
এদিকে গ্যাস না পেয়ে অনেক পরিবহন চালক এলপিজি ব্যবহার করছে। এতে বাধ্য হয়ে ভাড়া বাড়িয়ে দিচ্ছেন চালকরা।
জ্বালানি ব্যবসায়ীরা জানান, ২০০৭ থেকে ২০১০ সালের মধ্যে মৌলভীবাজারে সিএনজি ফিলিংস্টেশনগুলো গড়ে ওঠে। ওই সময় জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের সঙ্গে প্রতিটি পাম্পের বরাদ্দের বিষয়ে চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী এক লাখ থেকে তিন লাখ কিউবিক ফিট গ্যাস পায় ফিলিংস্টেশনগুলো। শুরুর দিকে সমস্যা না হলেও কয়েক বছর ধরে এর চাহিদা বাড়ছে।
বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন অ্যান্ড কনভার্সন ওয়ার্কশপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিলেট বিভাগীয় সভাপতি আমিরুজ্জামান চৌধুরী জানান, গ্যাস বরাদ্দ বাড়ানোর জন্য জালালাবাদ গ্যাসের কাছে বারবার চিঠি দেওয়া হয়েছে। বৈঠকও করা হয়েছে। কিন্তু কোনো সমাধান মিলছেনা।
জালালাবাদ গ্যাস আঞ্চলিক বিতরণ কার্যালয় মৌলভীবাজারের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. রুহুল করিম চৌধুরী জানান, ব্যবসায়ীরা নিয়ম না মেনে সময়ের আগেই গ্যাস বিক্রি করে দেন। ফলে মাস শেষে অনেকে পাম্প বন্ধ হয়ে যায়।