অনুসন্ধান নিউজ :: বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিফতাহ সিদ্দিকী ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের আমলে বিভিন্ন নির্যাতনের কথা তুলে ধরে বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন অব্যাহত আছে এবং মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত তা চলমান থাকবে। ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে এই দেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন হয়েছে। সামনে আরো পথ পাড়ি দিতে হবে। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর ফ্যাসিবাদী আওয়ামীলীগ সরকার কর্তৃক গুম, খুন,হত্যা ও ব্যাপক দুর্নীতি অনিয়মসহ, সৈরাচারিতার শীর্ষে পৌঁছে গিয়ে ছিল। তারা দেশের সকল স্তরে দলীয় করণ করেছে। স্বৈরাচারি শাসক খুনি শেখ হাসিনাকে ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনের তোপের মুখে দেশে থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। আজ ভারতে বসেও সে ভিন্ন অপকর্মের পরিকল্পনা করে যাচ্ছে। স্বৈরাচারি সরকার শেখ হাসিনা ও তার সকল সহযোগিদের বিচার বাংলার মাটিতে হবে ইনশাল্লাহ।
তিনি সোমবার (৭ অক্টোবর) ৩০নং ওয়ার্ড বিএনপির কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
কর্মী সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, সবাইকে ঐক্যবন্ধ হয়ে স্বৈরাচারের দোষরদের মোকাবেলা করতে হবে। দেশের প্রয়োজনের বিএনপি সর্বস্থরের নেতাকর্মীরা যে ভাবে অতিথে কাজ করেছে আগামীতেও দেশ গঠনে কাজ করবে ইনশাল্লাহ।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন সিলেট জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক তাজুরুল ইসলাম তাজুল, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ সাফেক মাহবুব, সিলেট জেলা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাদিকুর রহমান সাদিক, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কামাল হাসান জুয়েল।
এলাকার বিশিষ্ট মুরব্বী আব্দুল আজিজ ফজলু’র সভাপতিত্বে ও বিএনপি নেতা নুরুল ইসলাম এবং রুহেল আহমদ কালামের যৌথ পরিচালনায় কর্মী সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন ২৫নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বাচ্চু মিয়া, ২৬নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এম এ মান্নান, বিএনপি নেতা এনামুল কবির বাদশা, ফজলুল হক তুরণ, রাসেল আহমদ, গৌছ আলী মরিল, নুরুল হাসান, আজমল হোসেন, জামিল আলী, গৌছ উদ্দিন পাপলু, শিপন আহমদ, শাহনেওয়াজ আহমদ, খছরু মিয়া, আলী মাহবাবসহ বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলসহ অঙ্গসহযোগি সংগঠনিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।